মিরপুর শের-ই-বাংলার ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার। কিন্তু এদিন গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে আরও হাজার পাঁচেক দর্শক। ত্রিশ হাজারের করতালি ও মুখে একটাই ধ্বনি, ‘মিরাজ…মিরাজ…মিরাজ।’ সেঞ্চুরিয়ান ডুবে যান ওই মুহূর্তটায়।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ৬৯ রানে আফিফ যখন বোল্ড হলেন, তখন বাংলাদেশের ইনিংস ২০ ওভারও পেরোয়নি। স্কোরবোর্ড চিত্র ছিল এরকম ৬৯/৬। সেখানে বাংলাদেশ ইনিংস শেষ করে ৭ উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে। বাংলাদেশের ইনিংসের চিত্র পাল্টে দেওয়ার রূপকার মিরাজ। যিনি ধ্বংসস্তূপে ফুটিয়েছেন সেঞ্চুরির ফুল। তার এই হৃদয় নিংড়ানো, রূপকথার গল্পের মতো ইনিংসে বাংলাদেশ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে নেয় ওয়ানডে সিরিজ।
১৮ বলে ভারতের জন্য ৪০ রানের প্রয়োজন, তখন ৪৮তম ওভারে এসে মেডেন নেন মোস্তাফিজ। বাঁহাতি পেসারের দুর্বোধ্য স্লোয়ারের কোনও উত্তর মোহাম্মদ সিরাজের ছিল না। তাতে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ১২ বলে ৪০। নখ কামড়ানো এমন মুহূর্তে বোলিংয়ে মাহমুদউল্লাহ। রোহিত যেন হাফ ছেড়ে বাঁচেন। অফস্পিনারের এক ওভারেই ব্যবধান কমিয়ে আনেন ২০ রানে। অবশ্য ম্যাচটা ওই ওভারেই শেষ হতে পারতো যদি ফাইন লেগে রোহিতের সহজ ক্যাচ এনামুল মিস না করতেন।
শেষ ওভারেও রোহিতকে থামানো যায়নি। মোস্তাফিজের প্রথম ৫ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় তুলে নেন ১৪ রান। শেষ বলে একটি ছক্কায় হৃদয় ভাঙবে বাংলাদেশের, ভারত জিতবে ম্যাচ। এমন সমীকরণে মোস্তাফিজের কাঙ্খিত ইয়র্কারে বাংলাদেশ ৫ রানে জিতে যায় শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ। তৃতীয় ম্যাচ খেলতে চট্টগ্রামে পা রাখার আগেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ বাংলাদেশের।