খুলনায় বিরল মধ্যযুগীও কায়দায় এক বৃদ্ধকে গাছের সাথে বেঁধে ২ ঘন্টা ধরে নির্যাতন করা হয়েছে। এবং মোবাইলে ভিডিও করাই এক মহিলার শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতিত বৃদ্ধ বটিয়াঘাটা উপজেলার ৭ নম্বর আমিরপুর ইউনিয়ন এর আমিরপুর গ্রামের মৃত বোরহানউদ্দিনের পুত্র মোঃ শাহিদুল ইসলাম (৬৫) বলে জানা গেছে। তিনি একজন সরকারি ভূমি কর্মকর্তা ০৭ ডিসেম্বর বুধবার তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে, ঘটনার অভিযুক্ত স্থানীয়রা হলেন, লিয়াকত খাঁ ((৬০) এবং তার দুই ছেলের রনি খা(৩৮) ও রানা খা(৩৬) এবং মাহফুজ শেখ(৩৮) বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী অনেকে জানান, তাদের মাঝে দীর্ঘদিন যাবত ঝামেলা চলে আসছে, শহিদুল ইসলাম অত্র গ্রামে একা থাকার কারণে, বিভিন্ন সময় অন্য ব্যক্তিরা তার জমি দখল কিংবা জমির ফসল কেটে নেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। মূলত তিনি বৃদ্ধ এবং একা থাকার কারণে এলাকার ঐ সকল মানুষগণ আগেও বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়েছে।
এদের কিছু লোক এগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল।
এক পর্যায়ে বুধবার শহিদুল ইসলামের বাড়িতে এলাকার ওই সকল ব্যক্তি যাই। তখন বাড়িতে থাকা কিছু গাছ কাটা শুরু করেন, বাড়ির মালিক শহিদুল ইসলাম গাছ কাটা থেকে বাধা দিতে গেলে সেখানে থাকা খেজুর গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে তাকে মারধর করেন। নির্যাতনকারীদের দাবি গাছের জন্য তাদের জমিতে আলো বাতাস প্রবেশ করতে পারছে না। তখন এক মহিলা এই ঘটনার ভিডিও করায়, রানা খা(৩৬) তার মোবাইল নেওয়ার উদ্দেশ্যে ধস্তাধস্তি করে তার ওড়না খুলে ফেলে এবং শ্লীলতাহানি ঘাটায়,এবং মোবাইল ফেলে দেয়। ওই সময় এলাকার অনেক লোক উপস্থিত ছিল, তখন তাকে ধর্ষণ করবে বলে হুমকি দেয়।
পরে স্থানীয়রা জরুরি সেবা ‘৯৯৯’এ কল দিলে স্থানীয় ফাড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
পুলিশ জানান, আমরা ঘটনার সততা পেয়েছি ভুক্তভোগী কে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি, অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিব।
সর্বশেষ এই ঘটনা উল্লেখ করে ভিকটিম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শেষ খবরও পাওয়া পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।।
খুলনায় মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে নির্যাতন, শ্লীলতাহানি
