25 C
Khulna
Tuesday, July 8, 2025

মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

কুমিল্লার মুরাদনগরে বাবার বাড়িতে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার একমাত্র আসামি ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার ভোরে তাকে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফজর আলী উপজেলার বাহেরচর গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে।
এর আগে, শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে ওই নারীকে মারধর এবং নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- একই এলাকার সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিক। রোববার সকালে এক ক্ষুদেবার্তায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে উপজেলার বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামে। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, ঘটনার রাতে তার বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফজর আলী ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ঘটনার সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায় এবং তাকে মারধর করে ভিডিও ধারণ করে। মারধরের শিকার হয়ে ফজর আলী পালিয়ে যায়। পরে শনিবার রাতে ৫১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ১০-১২ জন যুবক বিবস্ত্র অবস্থায় ওই নারীকে মারধর করছে এবং তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন।
ভুক্তভোগী নারী ঘটনার পরদিন মুরাদনগর থানায় ফজর আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তার স্বামী গত পাঁচ বছর ধরে প্রবাসে রয়েছেন এবং তাদের দুটি সন্তান আছে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী নারী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করলেও তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের বিষয়টি পুলিশকে জানাননি। তবে ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত চারজনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন জানান, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

- Advertisement -spot_img

More articles

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ