25.7 C
Khulna
Tuesday, July 8, 2025

হাসিনা খারাপ, আওয়ামী লীগ খারাপ না’ ফজলুর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালেন ছাত্রদল নেত্রী

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের ‘হাসিনা খারাপ, আওয়ামী লীগ খারাপ না’ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নুসরাত জাহান। সোমবার (৭ জুলাই) সকালে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ বক্তব্যকে “ভুল, বিভ্রান্তিকর এবং ইতিহাস-বিরোধী” বলে আখ্যায়িত করেন।

বিবৃতিতে নুসরাত লিখেন, “সম্প্রতি বিএনপির একজন জ্যেষ্ঠ নেতা ফজলুর রহমান বলেছেন: ‘হাসিনা খারাপ, আওয়ামী লীগ খারাপ না।’ এই বক্তব্য আমাদের কাছে বিভ্রান্তিকর এবং ইতিহাস ও বাস্তবতার পরিপন্থী মনে হয়েছে। আওয়ামী লীগ ১/১১ থেকে শুরু করে গণতন্ত্র হত্যার প্রতিটি অধ্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছে। তারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনৈতিকভাবে নিঃশেষ করতে চেয়েছে। এই দায় শুধু একজন ব্যক্তির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া রাজনৈতিক অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমি, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে, এই বক্তব্যকে ঘোরতরভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি বিএনপির লাখ লাখ কর্মী-সমর্থকের আবেগ ও আদর্শের প্রতি অবমাননাকর।”

নুসরাত জানান, “আমরা ব্যক্তি নয়, আদর্শ ও আন্দোলনকে অনুসরণ করি। বক্তব্যের অপসংস্কৃতি ও আদর্শচ্যুতি প্রতিরোধে আমরা সচেতন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা মাঠে ছিলাম, আছি, এবং থাকব।”

এর আগে, গত বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসীন মন্টুর স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। সেখানে তিনি বলেন, “এই দেশে এখন কেউ নিরাপদ নয়। মব রাজনীতি ও মব কালচার চলছে।” আবেগাপ্লুত কণ্ঠে তিনি বলেন, “যার নেতৃত্বে এই দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, তার বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হলো, বুলডোজার চালানো হলো—কেউ প্রতিবাদ করল না, সরকার কিছু করল না, সেনাবাহিনী ছিল চৌকিদারের ভূমিকায়।”

ফজলুর রহমান আরও বলেন, “হাসিনা আর বঙ্গবন্ধু এক জিনিস না। হাসিনা খারাপ করলে, বঙ্গবন্ধু খারাপ হয়ে যান না। আওয়ামী লীগ এক সময় ফ্যাসিস্ট ছিল ঠিকই, কিন্তু তখনও প্রত্যেক এলাকায় নেতৃত্ব ছিল, মানুষের কথা বলার সুযোগ ছিল। এখন দেশে নেতৃত্বহীনতা, প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা, চক্রান্ত ও অনিশ্চয়তা চলছে।”

উল্লেখ্য, নুসরাত জাহান কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। জুলাই-আগস্ট মাসে তার নেতৃত্বে শহরের রাজপথে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নেয়। পরবর্তীতে তিনি কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন।

তার বাড়ি করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় থেকেই তার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

- Advertisement -spot_img

More articles

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ