পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল চত্বরে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একজন, নান্নুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গত বুধবার হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে সবার সামনে বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে পুরান ঢাকার কয়েকজন যুবক সোহাগকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর প্রকাশ্যে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও ইট-পাথরের আঘাতে মাথা ও শরীর থেঁতলে ফেলা হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয় এবং হত্যাকারীদের কেউ কেউ তার দেহের ওপর লাফিয়ে পড়ে।
সোহাগ ছিলেন পুরোনো তামার তার, অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ বিভিন্ন ভাঙারি মালামালের ব্যবসায়ী। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, একসময় তিনি যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
এই নৃশংস হত্যার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) মামলাটি করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।