প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫
বরগুনার আমতলী উপজেলার ন ম ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রথম সভা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পাওয়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা খাবার খেয়ে ও নষ্ট করে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় ওঠে।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হোসেন জানান, ৪ সেপ্টেম্বর গঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি করা হয় আমতলী সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. ফজলুল হককে। কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে প্রায় ৫০ জন আমন্ত্রিত অতিথির জন্য দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
অধ্যক্ষের অভিযোগ, এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে গুলিশাখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী ও সাধারণ সম্পাদক রিপন কাজীর নেতৃত্বে ৩০–৩৫ জন নেতা-কর্মী মাদ্রাসায় প্রবেশ করেন। তারা শিক্ষকদের গালাগাল করেন, অতিথিদের জন্য রান্না করা খাবার খেয়ে ফেলেন এবং অবশিষ্ট খাবারে টিস্যু, উচ্ছিষ্ট ও নোংরা পানি মিশিয়ে নষ্ট করে দেন। পরে শিক্ষক-কর্মচারী ও অতিথিদের হুমকি দিয়ে চলে যান।
ঘটনার পর রিপন কাজী তাঁর ফেসবুক আইডিতে খাবারের ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘ন ম ম আমজাদিয়া আলিম মাদ্রাসায় পিকনিকের কিছু স্মৃতি।’ পোস্টটি ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। স্থানীয়রা জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহবুব কাজী খাবার খাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, “মাদ্রাসায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছে, আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাই আমরা খাবার খেয়েছি, তবে কোনো খাবার নষ্ট করিনি।”
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব তুহিন মৃধা এ ঘটনাকে “অত্যন্ত গর্হিত কাজ” উল্লেখ করে বলেন, তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: আজকের কাগজ