এনসিপির মতো নেপালের ছাত্ররা দল করতে যায়নি, পড়ার টেবিলে ফিরে গেছে : রুমিন ফারহানা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্যও শিক্ষা হয়ে উঠতে পারে। তিনি দাবি করেন, নেপালের মতো একই ধরনের বৈষম্য ও জনঅসন্তোষ বাংলাদেশের সমাজেও বিদ্যমান।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে তিনি বলেন, নেপালের প্রধানমন্ত্রীও শেষ পর্যন্ত দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তবে সেখানে ছাত্ররা রাজনৈতিক দলে যুক্ত হয়ে অভ্যুত্থানের চেতনা ‘নষ্ট’ করেনি; বরং তারা আবার পড়াশোনায় মনোযোগ দিয়েছে।

রুমিন বলেন, “নেপালের বর্তমান অসন্তোষের একটি কারণ হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া। দীর্ঘদিন ধরে ‘হামি নেপাল’ নামে একটি সংগঠন দেখিয়ে এসেছে কিভাবে নেপালের রাজনৈতিক পরিবারের সন্তানরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে, অথচ সাধারণ মানুষ ও প্রবাসী শ্রমিকদের জীবন কষ্টকর বাস্তবতায় কাটছে। এই বৈষম্যই নেপালে অভ্যুত্থানের পথ তৈরি করেছে।”

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাসীদের মতো নেপালের শ্রমজীবী নাগরিকদের জীবনযাত্রা এবং রাজনৈতিক পরিবারের বিলাসী জীবনের মধ্যে গভীর ফারাক জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, “নেপালে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নেওয়ার পর মন্ত্রিসভা গঠনের আগে নির্বাচন ঘোষণা করেন। তিনি কোথাও বলেননি যে ছাত্ররা দল না করলে অভ্যুত্থানের চেতনা নষ্ট হয়ে যাবে। বরং তিনি স্পষ্ট দায়িত্ব পালন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন। সেখানে ‘পাঁচ বছর পাঁচ বছর’ ধরনের স্লোগান বা ক্ষমতায় থাকার লোভ ছিল না।”

তিনি আরও যোগ করেন, নেপালের তরুণরাও নতুন দল গঠনের দিকে না গিয়ে আবার পড়াশোনায় ফিরে গেছে। অথচ বাংলাদেশে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়, যেখানে ছাত্ররাজনীতি না থাকলে অভ্যুত্থানের চেতনা টিকে থাকবে না—এমন বক্তব্য শোনা যায়।

  • শেয়ার করুন