প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫
বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটে বিএনপি নেতা ও স্থানীয় সাংবাদিক এ এস এম হায়াত উদ্দিন হত্যার দুই দিন পর থানায় মামলা হয়েছে। রোববার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিহতের মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মো. ইসরাইল মোল্লাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১০–১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের বিবরণ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় হাড়িখালি এলাকায় নিজ বাড়ির কাছে সিদ্দিকের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন হায়াত উদ্দিন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়–সাতজন সন্ত্রাসী এসে তাঁকে ঘিরে ধরে। একপর্যায়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, “তুই কোন হাত দিয়ে লিখিস, সেই হাতটা একটু দেখা।” এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে দুর্বৃত্তরা।
আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজনৈতিক ও সামাজিক ভূমিকা
নিহত হায়াত উদ্দিন বাগেরহাট শহরের হাড়িখালি এলাকার মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি সম্প্রতি বাগেরহাট পৌর বিএনপির সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন, তবে পরাজিত হন। পাশাপাশি দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসা, ঠিকাদারি কাজের মান এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে সরব ছিলেন হায়াত উদ্দিন। এ কারণে অতীতেও তাঁর ওপর হামলা হয়েছিল।
প্রধান আসামি সম্পর্কে তথ্য
হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. ইসরাইল মোল্লা বিএনপির কর্মী। পাশাপাশি তিনি ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড হেলথ কেয়ার সোসাইটির জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের অবস্থান
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মাহামুদ-উল-হাসান জানান, নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।