নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে যা প্রয়োজন তা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ আশ্বাস দেন।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করেন।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বৈঠকে বিএনপি নেতারা প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিতর্কিত কর্মকর্তাদের বিষয়ে, যারা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচনী দায়িত্বে ছিলেন। তারা অনুরোধ জানান, এমন কর্মকর্তাদের আসন্ন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হোক। একই সঙ্গে নির্বাচনের আগে প্রশাসনে যেকোনো রদবদল নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা।

এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে প্রশাসনের সব ধরনের রদবদল তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, “জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের জন্য একাধিক ‘ফিট লিস্ট’ থেকে যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করে নির্বাচনের আগে যথাযথ স্থানে নিয়োগ দেওয়া হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। নির্বাচন একটি মহাআয়োজন। যারা শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সক্ষম, তাদেরই আমরা দায়িত্ব দেব। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমরা তা করব।”

বৈঠকে পুলিশের নিয়োগ ও বদলি প্রক্রিয়া সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টার কাছে কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বিএনপি নেতারা।

এসময় বিএনপি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সম্পৃক্ততা এবং ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ সফলভাবে আয়োজনের জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানায়। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি। এসব ঘটনার পেছনে অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কারণ রয়েছে কিনা— তা তদন্তের আহ্বান জানায় তারা।

চলমান রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

  • শেয়ার করুন