প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫
গণভোটের আড়ালে পতিত ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া রাজনৈতিক আলোচনা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনাও করেন তিনি।
বুধবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘গণভোট করতে গেলে রাষ্ট্রের বিপুল টাকা অপচয় হবে। গণভোটের আড়ালে পতিত ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে কি না, তা ভেবে দেখতে হবে। কেউ বিএনপির বিজয় ঠেকাতে চাইলে তারা নিজেরাই বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে।’
তারেক রহমান বলেন, দেশের কৃষি ও কৃষকদের বাঁচানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আলুচাষিদের যে ভর্তুকি প্রয়োজন, আবদার মেটাতে গিয়ে গণভোট করতে গেলে সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে। গণভোটের চেয়ে তাই আলুচাষিদের ন্যায্যমূল্য পাওয়া বেশি প্রয়োজন। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে গণভোট উৎপাদনের চেয়ে পেঁয়াজের সংরক্ষণাগার বেশি প্রয়োজন। কিন্তু ওই সব চাষির কথা বলার মতো দেশে কেউ নেই, এটাই দুর্ভাগ্য।
বর্তমান দুর্বল সরকারকে হুমকি না দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানান তিনি।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে তারেক রহমান বলেন, ‘মাসের পর মাস রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, সেখানে জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা ছিল না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্র ও একদলীয় শাসন কায়েম করতে চেয়েছিল, সেনাবাহিনীর গৌরবকে ভুলুণ্ঠিত করতে চেয়েছিল, তারা পরাজিত হয়েছে। যারা ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল, অসংখ্য প্রাণের মধ্য দিয়ে তাদের পতন হয়েছে। দেশকে কেউ যেন তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে না পারে—এটাই হোক ৭ নভেম্বরের অঙ্গীকার।’
আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বর্তমানে একটি সংকট তৈরি হয়েছে। গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা রুখে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’