খুলনায় নকল ও ভেজাল ওষুধ কিনে প্রতারিত হওয়ার ঘটনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন এক ভুক্তভোগী। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তদন্তে প্রমাণ মেলায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আইন অনুযায়ী আদায়কৃত জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ ভুক্তভোগীকে প্রদান করা হয়। সে অনুযায়ী অভিযোগকারী ভোক্তা পেয়েছেন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
আজ বুধবার (২০ আগস্ট) বিভাগীয় কমিশনার ফিরোজ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই টাকা ভুক্তভোগীর হাতে তুলে দেন।
উল্লেখ্য ,
খুলনায় নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে নগরীর রয়্যাল মোড়ে অবস্থিত লাজ ফার্মাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. সেলিমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসে লাজ ফার্মা থেকে এক ভোক্তা চর্মরোগের একটি বিদেশি মলম কিনে প্রতারিত হন। পরে তিনি ভোক্তা অধিকার অধিদফতরে অভিযোগ করেন। বিষয়টি জানানো হলে লাজ ফার্মা কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই ওষুধ সরবরাহ করেছে অ্যাডোরোবেলা হেলথ কেয়ার।
সোমবার, ওই প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মী পুনরায় একই ওষুধ সরবরাহ করতে এলে লাজ ফার্মা কর্তৃপক্ষ ভোক্তা অধিকার অধিদফতরকে জানায়। পরে অধিদফতর অভিযান চালিয়ে ওষুধটি নকল বলে প্রমাণ পায়।
এ সময় নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে লাজ ফার্মাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করে অ্যাডোরোবেলা হেলথ কেয়ার।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সেলিম বলেন,
‘দীর্ঘদিন ধরে অ্যাডোরোবেলা হেলথ কেয়ার বিভিন্ন ফার্মেসিতে নকল ওষুধ সরবরাহ করে আসছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য লাজ ফার্মাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই নকল ওষুধ মানবদেহে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই অন্যান্য ফার্মেসিতে এ ধরনের ওষুধ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’লাজ ফার্মার ম্যানেজার মঈন উদ্দিন বলেন, ‘গ্রাহকের অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে আমরা গত দুই মাস ধরে ওষুধটি গুদামে সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম। আজ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি ওষুধ সরবরাহ করতে এলে আমরা ভোক্তা অধিদফতরকে জানাই।’