28.7 C
Khulna
Thursday, May 22, 2025

দিন: দ্য ডের বাজেট খোলাসা করলেন না অনন্ত জলিল

সিনেমার বাজেট নিয়ে পরিচালকের অভিযোগের চার দিন পর নিজের অবস্থান জানালেন ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমার নায়ক অনন্ত জলিল; সেটিও ফেইসবুকে ভিডিও বার্তায়, তবে সুষ্পষ্ট করেননি বাজেটের বিষয়টি।

শনিবার ভিডিওতে প্রকাশ করা লিখিত বক্তব্যে নানা কারণে আলোচনায় আসা এ সিনেমার বাজেট নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দিলেও তা যে ‘১০০ কোটি টাকা ছিল’ সেটি পরিষ্কার করেননি তিনি।

গত ঈদে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশ ইরান যৌথ প্রযোজনার সিনেমাটির পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমের অভিযোগ ও দাবি খণ্ডন করতে তিনি চারটি যুক্তি তুলে ধরেন। পরিচালকের ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করা চুক্তি ‘বানোয়াট’ বলে দাবি করেন তিনি।

ইরানি পরিচালক মতুর্জার সঙ্গে সিনেমাটি নিয়ে বিভিন্ন টানাপড়নের পরও তার সঙ্গে আগামী সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আশা অভিনেতা জলিলের।

মুক্তির প্রায় দেড় মাস পর ‘দিন: দ্য ডে’ সিনেমার নির্মাতা মুর্তজা অতাশ জমজম অভিনেতা অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলতে থাকেন।

চুক্তিভঙ্গ করে সিনেমা মুক্তি, নির্মাণে স্বেচ্ছাচারিতা, পারিশ্রমিক পরিশোধ না করাসহ ইরানী নির্মাতার তোলা গুরুতর এসব অভিযোগ দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।

অনন্ত জলিলও সময় নিয়ে সেসব অভিযোগের জবাব দেন। দাবি করেন, ‘সব ষড়যন্ত্র, সব ভিত্তিহীন।’

সম্প্রতি ইরানি পরিচালক আরও বড় অভিযোগ আনেন; বলা চলে বোমা ফাটান এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে। এতে তিনি দিন: দ্য ডের চুক্তিনামা প্রকাশ করেন।

তার দাবি, “দিন দ্য: ডের বাজেট শতকোটি না। মাত্র চারকোটি টাকা।“

মুর্তজার এ অভিযোগের পর আর প্রকাশ্য দেখা যায়নি জলিলকে। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। গত সোমবার দেশের বেশিরভাগ সংবাদ মাধ্যম তার বক্তব্য ছাড়াই সে সংবাদ প্রকাশ করে।

এর চারদিন পর শনিবার মুখ খোলেন এ অভিনেতা। ফেইসবুকে ভিডিওবার্তায় লিখিত বক্তব্যে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “অনন্ত জলিলকে আপনারা মেরে ফেলেছেন।”

তিনি বলেন, “আমার তাকে ৪-৫ লাখ ডলার দেওয়ার কথা, তা থেকে আপনারা নিউজ করে যাচ্ছেন মুভিটির বাজেট ৪ কোটি টাকা। বাংলায় অ্যাগ্রিমেন্ট পোস্ট করার কিছুদিন আগে তার ইন্সটাগ্রামে আরও একটি লেখা পোস্ট করেন সেখানে তিনি বলেন, আমি তার অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী পেমেন্ট করি নাই এবং ইরানিদেরকে আমি পেমেন্ট করি নাই।

“এমনকি তিনি বলেছেন, মুভিটি আমি আমার মতো করে বানিয়েছি। আমি এক এক করে তার এই পোস্টের ব্যাপারে আসল সত্যটা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।”

ওই চুক্তি ‘বানোয়াট’ দাবি করে এক নম্বর যুক্তিতে তিনি বলেন, “এটা যৌথ প্রযোজনার মুভি, দুটি দেশের মধ্যে সুতরাং বাংলা কোনো অ্যাগ্রিমেন্ট গ্রহণযোগ্য হয় কি না তা আপনাদের সবারই জানা। যারা খুব উৎসাহ নিয়ে আমার সমালোচনা করছেন মিস্টার মুর্তজার সাথে কাঁধ মিলিয়ে তাদেরই কেউ না কেউই এই কাজটি করেছেন, যা আমি হলফ করে বলতে পারি। এই অ্যাগ্রিমেন্ট সম্পূর্ণভাবে বানোয়াট।”

এরপর বলেন, “এবার আসি আমার মনগড়া ভাবে মুভিটি বানানোর ব্যাপারে। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, বাংলাদেশে শুটিং এর সময়ও ইরান থেকে ১৭ জনের একটি টিম নিয়ে আসেন মিস্টার মুর্তজা।

“আপনারা মিশা ভাই ও খোরশেদ আলম ভাইকে সবাই চিনেন, তাদেরকে একবার ফোন করে জিজ্ঞেস করবেন, মিশা ভাইসহ অন্যান্য বাংলাদেশি আর্টিস্ট ছিলেন, শুটিং এ একবারও আমি কোন ডিরেকশান দিয়েছি কি না?”

তার দাবি, পরিচালক মুর্তজা ও বাংলাদেশের শেখ জামাল বাংলাদেশের শুটিং পরিচালনা করেন।

তিন নম্বরে অনন্ত বলেন, “আপনারা মুভিটি দেখেছেন, কিছু অংশ বাংলাদেশ ছাড়া মুভিটির বড় অংশগুলো তিনটি দেশ মিলে শুটিং হয়েছে। সে দেশের আর্টিস্ট, টেকনিশিয়ানসহ সমস্ত কিছু মিস্টার মুর্তজা অ্যারেঞ্জ করেছেন এবং শুটিং সম্পূর্ণ করেছেন। সাথে আমাদের বাংলাদেশের কিছু টেকনিশিয়ান কাজ করেন।“

এরপর এ অভিনেতা বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, আমি বলেছি এই মুভিটির ইনভেস্টর আমি, আমি সব সময় বলে এসেছি, শুধুমাত্র বাংলাদেশের শুটিং এর ইনভেস্টর আমি।

এরপর বিভিন্ন সময় বাজেট প্রসঙ্গে তার ও ইরানি পরিচালকের দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরে জলিল বলেন, “মিস্টার মুর্তজা তুলে ধরেছেন, আমার ৪-৫ লক্ষ ডলার তাকে শুটিং খরচের জন্য দেওয়ার কথা। অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী সম্পূর্ণ টাকা দেই নাই। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, অ্যাজ পার অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের শুটিং এর সমস্ত খরচ আমার দেওয়ার কথা, সে অনুযায়ী বাংলাদেশের শুটিং এর সমস্ত খরচ আমি বহন করি। সেখানে ১ কোটি টাকা লাগল, বা ৪ কোটি টাকা লাগল সেটা তো মিস্টার মুর্তজার দেখার বিষয় না।

“বাংলাদেশের শুটিং খরচ ছাড়া বিদেশের কোন শুটিং খরচ ই আমার দেওয়ার কথা না, আমাদের ট্রাভেলিং কস্ট ছাড়া, মিনস ইয়ার টিকিট ছাড়া। সেখানে আমি তাকে ডলার দিবো এই প্রশ্ন উঠবেই বা কেন?”

তার প্রশ্ন অন্য দেশের শুটিং পরিচালক মুর্তজা কি বিনা পয়সায় করেছেন? এসময় তিনি দেশে বিদেশে শুটিংয়ে শিল্পীদের কোথায় রাখাসহ সেগুলাসহ ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন।

এর পরও পরিচালকের সঙ্গে তার সম্পর্ক আগের মতই অটুট থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, “মুভি রিলিজের আগ পর্যন্ত আমার ও মুর্তজার সাথে কখনোই কোন খারাপ সম্পর্ক ছিল না। আমি আশা করি আগামীতেও থাকবে না। যাদের স্বার্থের জন্য এই ষড়যন্ত্র করেছেন তাদের মুখোশ একদিন ঠিকই মিস্টার মুর্তজাই প্রকাশ করবেন বলে আমার আত্মবিশ্বাস।”

গত ঈদে মুক্তি পায় বাংলাদেশ ইরান যৌথ প্রযোজনার সিনেমা দিন: দ্য ডে। বাংলাদেশ, ইরান, তুরস্ক, আফগানিস্তানে সিনেমাটির শুটিং হয়ে

News Source : https://t.ly/pnf2

- Advertisement -spot_img

More articles

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ সংবাদ