Home আঞ্চলিক সংবাদ শিশু অঙ্কিতাকে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রীতমের যাবজ্জীবন

শিশু অঙ্কিতাকে ধর্ষণের পর হত্যা, প্রীতমের যাবজ্জীবন

0

খুলনায় আলোচিত শিশু অঙ্কিতা দে ছোঁয়াকে ধর্ষণের পর হত্যার আসামি প্রীতম রুদ্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া লাশ গুমের অপরাধে ৫ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
খুলনা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মতিউর রহমান বুধবার (২১ জুন) এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি প্রীতম আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি দৌলতপুর পাবলা বণিকপাড়া এলাকার জনৈক প্রভাত কুমার রুদ্রের ছেলে।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মালেক এবং পিপি আহদুজ্জামান ও সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে নিখোঁজ হয় পাবলা বণিকপাড়া এলাকার জনৈক সুশান্ত দের কান্যা অঙ্কিতা দে। সে স্থানীয় সরকারি বিনা পানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে নিকটস্থ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। পরবর্তীতে তারা থানায় মামলা দায়ের করে। নিখোঁজ অঙ্কিতাকে না পাওয়ায় খুলনায় আলোচনার সৃষ্টি হয়। নিখোঁজের ৬ দিন পর তার মরদেহ পাবলা বণিকপাড়া একটি বাড়ির নিচ তলার বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ওই ভবন মালিকের ছেলে প্রীতম রুদ্রকে গ্রেপ্তার করে।
হত্যাকণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে প্রীতম। পরে ওই মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়। একই বছরের ১০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মিজানুর রহমান প্রীতম রুদ্রকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

Exit mobile version