আফগান বোলারদের দাপটে যেন চোখে শস্যফুল দেখছিলেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। প্রতিবেশী দেশটির বোলারদের ধেয়ে আসা একের পর এক আগুনঝড়া ডেলিভারির সামনে কোনো উত্তরই জানা ছিল না আজম খান-মোহাম্মদ হারিসদের।
পাকিস্তানকে মাত্র ৯২ রানে আটকে রেখে অর্ধেক কাজ আগেই সেরে রেখেছিলেন আফগান বোলাররা। এই স্বল্প রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খেলেও মোহাম্মদ নবী ও নজিবুল্লাহ জাদরানের ব্যাটে চড়ে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে আফগানিস্তান।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) পাকিস্তানের ৯২ রান পেরিয়ে গেছে তারা ১৩ বল বাকি থাকতে। এটাই পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেতে প্রথম জয়।
এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানসহ প্রথম পছন্দের এক ঝাঁক খেলোয়াড়দের বিশ্রামের জন্য একাদশে ছিল নতুনের ছড়াছড়ি। তবে তাদের কেউই এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি।
আট ব্যাটারই ব্যক্তিগত ইনিংসে দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পারেননি। সর্বোচ্চ ২০ রানের ইনিংস খেলেছেন ওয়াসিম। কোনো জুটিই গড়তে পারেনি ২০ রানে জুটিও।
এমনকি এক পর্যায়ে তো নিজেদের সর্বনিম্ন থামার শঙ্কায় পড়েছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
৪ ওভারে স্রেফ ৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন মুজিব উর রহমান। এছাড়া ১৩ রানে দুই উইকেট শিকার করেছেন ফজলহক ফারুকি।
৯৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে ২৩ রানের উদ্বোধনী জুটি হলেও এরপর চার রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় আফগানরা। টি-টোয়েন্ট অভিষেকে নিজের প্রথম বলেই পাকিস্তানি পেসার ইহসানউল্লাহ পান ইব্রাহিম জাদরানের উইকেট।
এরপর দ্রুত ফিরে যান করিম জান্নাতও। ৪৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। তবে এরপর নবি ও নাজিবুল্লাহর জুটিতে সব চাপ কাটিয়ে ওঠে তারা।
তাদের অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রানের জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম জয়ের আনন্দে ভাসে আফগানিস্তান। তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৮ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার নবি। নাজিবউল্লাহ ২ চারে ২৩ বলে করেন ১৭ রান।