ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় পাথর নিক্ষেপকারী হিসেবে শনাক্ত সাদা শার্ট পরা যুবককে পটুয়াখালী থেকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলার ঘটনায় মোট আটজনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদলের দুই নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে সংগঠন থেকে। তারা হলেন—জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি।
গত বুধবার (১০ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে ভয়াবহ এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, হত্যার আগে সোহাগকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে আনা হয়, এরপর প্রকাশ্যে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা ও শরীরে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করে শরীরের ওপর লাফানোর ঘটনাও ঘটে, যা সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, পূর্বপরিচয়ের সূত্রে পুরান ঢাকার কয়েকজন যুবক সোহাগকে ডেকে নেয়। সোহাগ একজন ভাঙারি ব্যবসায়ী ছিলেন—তিনি পুরনো তামার তার, অ্যালুমিনিয়াম শিটসহ বিভিন্ন ধাতব জিনিসপত্র ক্রয়-বিক্রয় করতেন। তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরে। তিনি একসময় যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সোহাগের পরিবার জানায়, তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে সোহানা ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং ১১ বছর বয়সী ছেলে সোহান চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন (১১ জুলাই) নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম (৪২) বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার