প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরাইলি দখলকৃত অঞ্চলে সফল ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) আল-মাসিরাহ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে সংস্থার মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট একটি ‘প্যালেস্টাইন-২’ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দখলকৃত নেগেভ অঞ্চলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানে। এ হামলায় বহু ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী নিরাপত্তার খোঁজে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায়।
সারি আরও জানান, ড্রোন ইউনিট দুটি পৃথক অভিযান চালায়। এক অভিযানে দুটি ড্রোন ব্যবহার করে এলাত (উম্ম আল-রাশরাশ) সংলগ্ন রামন বিমানবন্দরে আঘাত হানা হয়। অন্য অভিযানে একটি ড্রোন দিয়ে নেগেভ অঞ্চলের আরেকটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয়। তিনি এসব হামলাকে গাজায় ইসরাইলি কর্মকাণ্ড ও ইয়েমেনের ভূখণ্ডে আগ্রাসনের প্রতিশোধ হিসেবে উল্লেখ করেন।
হুথি কর্মকর্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরাইলি দখলদার বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের জন্য আর কোনো জায়গা নিরাপদ থাকবে না। হুথি নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম সম্পর্ক পরিচালক আবদুল্লাহ আল-আহনুমি বলেন, রাজধানী সানার তাহরির স্কোয়ারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো ইসরাইলি হামলার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। তিনি জানান, ভবিষ্যতে হামলার লক্ষ্য হবে সামরিক ঘাঁটি, বিমানবন্দর ও বসতি স্থাপনকারীদের সমাবেশ।
ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই পাল্টা পদক্ষেপ আসে মাত্র একদিন পর। বৃহস্পতিবার ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও উত্তরাঞ্চলীয় আল-জওফ প্রদেশে ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালায়। এতে অন্তত ৩০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৩০ জনের বেশি আহত হন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় আবাসিক ভবন, চিকিৎসাকেন্দ্র এবং হাজম শহরের সরকারি কার্যালয় ধ্বংস হয়।
নাগরিক সুরক্ষা বিভাগ জানায়, তারা হামলার পর অগ্নিনির্বাপণ ও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছে। এছাড়া রাজধানীর স্থানীয় গণমাধ্যমের কার্যালয়ও ধ্বংস হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এক জ্যেষ্ঠ ইয়েমেনি কর্মকর্তা।
—
আপনি চাইলে আমি এটিকে আরও সংক্ষিপ্ত আন্তর্জাতিক নিউজ ফরম্যাটে (যেমন সংবাদ সংস্থা স্টাইল) লিখে দিতে পারি। চাইবেন?