বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে সর্বদলীয় কমিটির অবরোধ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও আদালত অবরুদ্ধ করে রেখেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতাকর্মীরা। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে নেতাকর্মীরা মিছিলসহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে যান এবং কার্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেন। এ সময় চারটি আসন বহালের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।

শুধু জেলা শহরেই নয়, জেলার ৯টি উপজেলাতেও উপজেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সামনে একইভাবে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। এই কর্মসূচি বিকেল পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দীপু, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফফর রহমান আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুন নাসির আলাপ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সীমানা পরিবর্তনের মাধ্যমে বাগেরহাটের চার আসনকে তিন আসনে নামিয়ে আনা জনগণের দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে। তারা হুঁশিয়ারি দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান দীপু জানান, বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই শুনানি হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটিতে আনার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়। ৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়, যেখানে তিন আসনকেই বহাল রাখা হয়।

চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী—

বাগেরহাট-১: বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, মোল্লাহাট

বাগেরহাট-২: ফকিরহাট, রামপাল, মোংলা

বাগেরহাট-৩: কচুয়া, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা

এর আগে চারটি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা ছিল—

বাগেরহাট-১: চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট

বাগেরহাট-২: বাগেরহাট সদর, কচুয়া

বাগেরহাট-৩: রামপাল, মোংলা

বাগেরহাট-৪: মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা

আসন পুনর্বিন্যাসের এই সিদ্ধান্ত গণমানুষের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

  • শেয়ার করুন