১৮ কোটি মানুষকে খুশি করতে পেরেছি: হামজা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

শুধু কি সমর্থক আর খেলোয়াড়। সাংবাদিকদের মধ্যেও ছড়িয়ে গেল এই জয়ের রোমাঞ্চ। ২২ বছরের অপেক্ষা বলে কথা। দুই ম্যাচেই জয়ের সাক্ষী হয়েছেন গুটিকয়েকজন। তাঁরা খানিকটা নস্টালজিক হলেন প্রেসবক্সে বসে। এর আগে বারবার শেষ মুহূর্তের ভারতের কাছে হারের বেদনা যে ছুঁয়েছে তাঁদের মনেও।

আজ শুধুই আনন্দে আহ্লাদ হওয়ার দিন। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতকে ১–০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে যখন কোচ হাভিয়ের কাবরেরার সঙ্গে হামজা চৌধুরী এলেন করতালি দিয়ে সম্মান জানানো হলো তাঁদের। চুইঙ্গাম চিবোতে চিবোতে হামজাও জানালেন উচ্ছ্বাসের কথা। জাতীয় স্টেডিয়ামে জয়সূচক গোলটি শেখ মোরসালিনের হলেও নেপথ্যে বড় অবদান হামজারই। মাঠে তিনি ঠিক সেটাই করেছেন, যা তাঁর করা উচিত ছিল। বল নিয়ে যা করতে চেয়েছিলেন, সবকিছু করেছেন সুনিপুণভাবে। রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এই মিডফিল্ডার।

এই জয় তাঁর চেয়ে বেশি আর কেইবা চেয়েছিল। ১৮ কোটি মানুষকে আনন্দ দিতে পেরে তাই তো তৃপ্তির ঢেকুর তুললেন তিনি। লেস্টার সিটির হয়ে এফএ কাপ জেতার অভিজ্ঞতা আছে হামজার। তবে ভারতকে হারানোর সুখটা এর চেয়েও বড়। তিনি বলেন, ‘ভিন্ন কারণে—হ্যাঁ (ক্যারিয়ারের সেরা)। এখানে আমরা ১৮ কোটি মানুষকে খুশি করেছি। পৃথিবীর আর কোথাও এটা সম্ভব নয়। তাই এটি অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্যের মধ্যে থাকবে।’

জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেকের পর থেকেই ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে দুর্দান্ত। দলীয় ব্যর্থতার কারণে সেসব ফিকে হয়ে যায়। হামজা জানালেন ধৈর্যই হলো সবকিছুর মূল। তা না থাকলে স্বপ্নই বা পূরণ হয় কীভাবে, ‘অবশ্যই, স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। ইনশা আল্লাহ, খুব তাড়াতাড়ি আমরা বড় কোনো টুর্নামেন্টেও কোয়ালিফাই করব। আমরা এখন প্রমাণ করেছি আমরা সক্ষম। শুধু সময় আর ধৈর্য দরকার। আমাদের দলে অনেক কম অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। দর্শক পূর্ণ স্টেডিয়ামে খেলা বিশাল চাপের।’

দুই দলের কেউই খুব একটা গোছানো ফুটবল খেলেনি। তবে মানসিকতা ভারতের চেয়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। হামজা তাই শোনালেন, ‘আমি আর শমিত শোম একটু দেরিতে যোগ দিয়েছি।আমরা এসে শুধু কিছুটা মান, কিছুটা মানসিকতা যোগ করার চেষ্টা করেছি। আজ (গতকাল) আমরা সেই মানসিকতাই দেখিয়েছি। শেষ চার ম্যাচে শেষ ধাপে হোঁচট খাচ্ছিলাম। এবার উল্টোটা হলো—হয়তো বল পায়ে ততটা ভালো ছিলাম না, কিন্তু দেখিয়েছি আমরা কতটা স্থিতিশীল হতে পারি।’

কাবরেরা মুখেও একই কথা, ‘বহু ট্যাকটিক্যাল পরিকল্পনা করেছিলাম, কিন্তু অনেক সময়ই পরিকল্পনা উল্টো পথে যায়। আমরা ভেবেছিলাম বল দখলে আধিপত্য করব, কিন্তু পারিনি। তবে এটিই আজকের জয়ের বড় দিক, পরিস্থিতি আমাদের বিপক্ষে গেলেও আমরা মানিয়ে নিয়েছি।’

  • শেয়ার করুন