বগুড়ার শাজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে গুলি রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগে রুহুল আমিন নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর শাহপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থানীয়রা জানান, শাজাহানপুর থানা আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আবদুল বাকীর বাড়িতে কনস্টেবল রুহুল আমিন নিজেকে ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয়ে আসেন। এর আগে তিনি একবার ৫০০ টাকা খরচ দাবি করে বাড়ি থেকে নিয়ে যান। বৃহস্পতিবার ফের এসে বাকীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন সবুজকে পাশের বাড়িতে ডেকে নিয়ে একটি বাক্স খুলতে বলেন। বাক্সে শটগানের পাঁচ রাউন্ড গুলি পেয়ে তিনি সবুজকে ভয় দেখান এবং পরে নিজের ব্যাগ থেকে আরও ১৫ রাউন্ড গুলি বের করে মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন।
সবুজের আইনজীবী বোন অ্যাডভোকেট শাপলা খাতুন জানান, রুহুল আমিন ফোনে তাকে জানায়, এক লাখ ৩০ হাজার টাকা দিলে তার ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে। শাপলা খাতুন তা অস্বীকার করলে টাকা কমিয়ে এক লাখ ২০ হাজার দাবি করেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে আশপাশের মানুষ জড়ো হয়ে রুহুল আমিনকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে গণপিটুনি দেয়।
পরে শাপলা খাতুন ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী এসে কনস্টেবল রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি শাজাহানপুর থানায় ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম পলাশ বলেন, আগের একটি অভিযোগের কারণে রুহুল আমিন পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি ডিউটি শেষে অস্ত্র জমা দিলেও সরকারি গুলি জমা দেননি বলে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।