Home সারাবিশ্ব নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলেন ইলন মাস্ক

নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করলেন ইলন মাস্ক

0

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেওয়ার পর এবার সেই দলের আনুষ্ঠানিক নিবন্ধনের জন্য মার্কিন ফেডারেল নির্বাচন কমিশনে (FEC) আবেদন দাখিল করেছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। সংশ্লিষ্ট নথিটি ৬ জুলাই কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক জানান, তার দলটির নাম হবে ‘আমেরিকা পার্টি’। তিনি লেখেন, “আজ আমেরিকা পার্টির জন্ম হলো—আপনার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে।”

এই ঘোষণার পর মার্কিন রাজনীতিতে বেশ আলোড়ন তৈরি হলেও ট্রাম্প প্রশাসন বা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

মাস্কের দল গঠনের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি তিনি এক্স-এ চালানো এক জরিপে জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন আছে কি না। প্রায় ১২ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে চালানো সেই জরিপে দুই-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন বলে দাবি করেন মাস্ক।

এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধেও নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মাস্ক। বিশেষ করে ‘বিগ বিউটিফুল বিল’ নামে পরিচিত করছাড় ও ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবটি আইনে পরিণত হওয়ায় তিনি বলেন, “এই বিল যুক্তরাষ্ট্রকে দেউলিয়ার পথে ঠেলে দেবে।”

উল্লেখযোগ্য যে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে মাস্ক তাকে সমর্থনই করেননি, বরং প্রচারণায় অর্থসহায়তা দিয়েছিলেন এবং সরকারি দক্ষতা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে নীতিগত মতবিরোধের কারণে তাদের সম্পর্ক এখন তিক্ততায় পৌঁছেছে।

এর আগেও মাস্ক হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তিনি এমন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করবেন যারা করছাড় ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বৃদ্ধিতে সমর্থন দেওয়া আইনপ্রণেতাদের পরাজিত করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করবে। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প সতর্ক করে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে মাস্কের বিভিন্ন কোম্পানিকে দেওয়া ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।

মাস্কের এই নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগ কতটা প্রভাব ফেলবে তা এখনই বলা কঠিন হলেও, রিপাবলিকানদের মধ্যে ইতোমধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, ২০২৬ সালের কংগ্রেস নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে আমেরিকা পার্টি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।

Exit mobile version