ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের চাতলপাড় ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষ—মোল্লা গোষ্ঠী ও উল্টা গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা মো. সোহরাব মিয়া নিহত হয়েছেন। শনিবার (৫ জুলাই) সংঘর্ষের পরপরই শুরু হয় প্রতিশোধমূলক হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ। এতে শতাধিক পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
মোল্লা গোষ্ঠীর লোকজন উল্টা গোষ্ঠীর বাড়িঘর ও বাজারে হামলা চালিয়ে অন্তত ১২টি গরু, এক হাজার মণ ধান এবং প্রায় ২০ কোটি টাকার মালামাল লুট করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাতলপাড় বাজারের অন্তত ছয়টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
ভুক্তভোগী নারী সাফিয়া বেগম ও অন্তঃসত্ত্বা কোহিনুর বেগম জানান, তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ও অস্ত্রের মুখে স্বর্ণালংকারসহ সর্বস্ব লুটে নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী হামজা বলেন, তার দোকানের ২৫ লাখ টাকা ও সব মালামাল নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।
মোল্লা গোষ্ঠীর মোতাহার হোসেন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, উল্টা গোষ্ঠীর লোকজনই সোহরাবকে হত্যা করেছে এবং নিজেরাই দোকানপাটে ভাঙচুর চালিয়েছে।
চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সেনাবাহিনীর একটি দল এলাকা পরিদর্শন করেছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির নির্ভুল হিসাব এখনও জানা যায়নি।