ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল এলাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যুবদলের দুই নেতাকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন—যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি। নিহত সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ৯ জুলাই রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে সোহাগ নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত দুই নেতাকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সংগঠনের সব ধরনের পদ থেকে আজীবনের জন্য অপসারণ করা হয়েছে।
যুবদল জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের নির্দেশে বহিষ্কার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বহিষ্কৃতদের কোনো অপকর্মের দায়ভার দল নেবে না। পাশাপাশি যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ বিষয়ে কঠোর ও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের দল থেকেও আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।