হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেশজুড়ে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব ভূমিকা নিতে দেখা গেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উত্তরসূরি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের। কিন্তু এবার সেই দলটির শীর্ষপর্যায়ের একজন নেতার বিরুদ্ধেই ওঠেছে চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ইমামুর রশিদ ইমন ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এক নারীর কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা গ্রহণ করছেন। ১৪ মে ধারণ করা ভিডিওটিতে ওই নারীকে বলতে শোনা যায়, “এখানে সাত লাখ টাকা, ১০ লাখ থাকার কথা ছিল ভাইয়া। একটু ক্রাইসিস বুঝেন না!” জবাবে ইমন বলেন, “ভাইকে বলছেন?” — “হ্যাঁ, বলেছি,” উত্তর দেন নারীটি। তবে ভিডিওতে ‘ভাই’ বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
ভুক্তভোগী ওই নারী, একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, অভিযোগ করেছেন— বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে এনসিপিকে তিনি প্রায় ৪৮ লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তাকে কোনো কাজ বা সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এনসিপি নেতার টাকা গ্রহণের ঘটনাকে সরাসরি চাঁদাবাজি হিসেবে অভিহিত করে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান। এরপরই মুহূর্তে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়ে।
এছাড়াও এনসিপির আরও বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধেও উঠেছে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি এবং নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ। বিশেষ করে দলটির নেতা গাজী সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর তাকে যুগ্ম সদস্যসচিব পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়।