আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় তাদের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’কে তফসিল থেকে বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একই সঙ্গে ‘শাপলা’ প্রতীক তফসিলভুক্ত করার আবেদন করেছে দলটি।
তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত নৌকা প্রতীক তফসিলে বহাল থাকছে এবং শাপলা প্রতীক তালিকায় যোগ করা হচ্ছে না।
রোববার (১৩ জুলাই) নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত হলেও দলটির প্রতীক ‘নৌকা’ আপাতত তফসিলে থাকছে। কারণ, প্রতীকগুলো ইসির সংরক্ষিত সম্পদ এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত কোনো প্রতীক বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই।”
শাপলা প্রতীক বিষয়ে তিনি জানান, “যে কোনো দল প্রতীক চাইতে পারে, তবে শাপলা প্রতীকটি ইসির বর্তমান তফসিলভুক্ত তালিকায় নেই। এনসিপি ভবিষ্যতে নিবন্ধন পেলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।”
এর আগে রোববার সকালে এনসিপির একটি প্রতিনিধিদল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দের দাবি জানায়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ এবং যুগ্ম সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম মূসা।
দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে জহিরুল ইসলাম মূসা বলেন, “আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকা অবস্থায় নৌকা প্রতীক তালিকায় রাখা আইনত বৈধ নয়। আমরা কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।”
অন্যদিকে, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “শাপলা প্রতীক বরাদ্দে কোনো আইনি বাধা নেই। যদি বাধা দেওয়া হয়, আমরা রাজনৈতিকভাবে লড়াই চালিয়ে যাব। সেইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এটা স্পষ্ট দাবি।”