গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীসহ সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বুধবার এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি রিফাত রশিদ জানান, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই অবরোধ পালন করা হবে।
অন্যদিকে, গোপালগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষ চলমান থাকায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে, এতে এখন পর্যন্ত পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার দুপুর ৩টার দিকে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় প্রথম সংঘর্ষের সূচনা হয়। পুলিশ বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষ থামাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে।
এনসিপি নেতাদের বহনকারী গাড়িবহর লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে এনসিপি নেতাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে দেখা যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গোপালগঞ্জে পরিস্থিতি এখনো উত্তপ্ত ও থমথমে। শহরের বিভিন্ন মহাসড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে। meanwhile, এনসিপির নেতাকর্মীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জে হামলার জবাব আন্দোলনের মাধ্যমে দেওয়া হবে।