জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির সেক্রেটারি এ আর হাফিজ উল্যাহ বলেছেন, “আপনারা জানেন, এনসিপি নেতারা সম্প্রতি গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। জাতীয় নেতাদের যথাযথ নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এজন্য গোপালগঞ্জের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সবাইকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো উচিত। আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—প্রশাসনের মধ্যে যারা ফ্যাসিস্ট শাসনের ধারক-বাহক, তাদের চিহ্নিত করে বহিষ্কার করুন।”
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বাদ মাগরিব লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াত আয়োজিত স্বাগত মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মিছিলটি লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মোড় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমুহনী এলাকায় গিয়ে সমাবেশে পরিণত হয়। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
এ আর হাফিজ উল্যাহ আরও বলেন, “আপনারা একটি জেলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন না, অথচ বলছেন দেশজুড়ে পরিকল্পনা করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করবেন। এটি অবাস্তব ও কল্পনাতীত। জনগণ যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে না পারে, তাহলে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। গ্রহণযোগ্য পরিবেশ তৈরি করে তবেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের আমীর আবুল ফারাহ নিশান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির নজীর আহমেদ, শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহকারী সেক্রেটারি নাছির উদ্দিন মাহমুদ ও মহসিন কবির মুরাদ, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী, শহর জামায়াতের সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ, চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি রেজাউল করিম খান সুমন এবং শহর শিবিরের সভাপতি ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ।