গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত চারজনের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন হয়েছে ময়নাতদন্ত ছাড়াই। নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন থাকলেও কারও সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়নি বলে জানা গেছে।
বুধবার রাতে পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহাকে পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়। একই রাতে টাইলস মিস্ত্রির সহকারী রমজান কাজীকে এশার নামাজের পর দাফন করা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পৌর কবরস্থানে মোবাইল ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও ক্রোকারিজ দোকানের কর্মচারী ইমন তালুকদারকে দাফন করা হয়।
নিহতরা হলেন—কোটালীপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের রমজান কাজী (১৯), শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫), উদয়ন রোডের দীপ্ত সাহা (৩০) এবং সদর উপজেলার ইমন তালুকদার (২৪)। তাদের সবাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালও জানিয়েছে, নিহতদের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। সংঘর্ষে চারজন নিহত ও শতাধিক আহত হন, যাদের মধ্যে ৯ জন গুলিবিদ্ধ।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে একজন, গাড়িচালক সুমন বিশ্বাস, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পেট ও আঙুলে গুলি লেগেছে।
এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তবে এখনো কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে দায় স্বীকার করেনি বা কোনো গ্রেপ্তার হয়নি।