পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন এবং আরও একজন গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ১১টার দিকে পৌর শহরের নিউ মার্কেট এলাকার প্রিন্স হোটেলের সামনে এই সংঘর্ষ ঘটে। আহতদের প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মুবিন (২৩) মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে একটি মোবাইল ফোনের মালিকানা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে রনি (২০), ফাহাদ (১৮), তানজিল (১৮) সহ ৬-৭ জন মিলে মো. হুমায়ুনের ছেলে শামীম (২৩) এবং মো. মহারাজের ছেলে মো. মুবিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
উল্লেখযোগ্য যে, সংঘর্ষে লিপ্ত দুই পক্ষই উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তবে শামীম মৃধা দাবি করেন, ঘটনার সাথে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই এবং এটি বহিষ্কৃত নেতা রুহুল আমিন দুলালের অনুসারী নাজাতের নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছে। তিনি দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।