গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’ ঘিরে সংঘর্ষ ও সহিংসতায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর হামলা, যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে চারটি মামলা দায়ের করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত দুই দিনে গোপালগঞ্জ সদর, কাশিয়ানী ও কোটালীপাড়া থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এসব মামলা দায়ের করে। মামলাগুলোতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নামও রয়েছে।
সবশেষ সদর উপজেলার সাতপাড়ায় গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং সড়কে গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি নতুন মামলা দায়ের করা হয়। শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আল মামুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন (মামলা নম্বর-১৬)। এতে ৫৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ইতিমধ্যে ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পুলিশের তথ্যমতে, চার মামলায় মোট ৩৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার আট (৩,০০৮) জনে।
১৬ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোট ৩০৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর থানায় ৯২ জন, কাশিয়ানী থানায় ৭৭ জন, মুকসুদপুরে ৮৮ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ২৭ জন এবং কোটালীপাড়ায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। পরে তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। গুলিবিনিময়ে পাঁচজন নিহত ও অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।