চাঁদাবাজিতে গ্রেফতার রিয়াদ ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি!

প্রকাশিত: জুলাই ২৭, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

রাজধানীর গুলশানে এক সাবেক নারী সংসদ সদস্যের কাছে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে আটক হন আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ)। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ছাত্র প্রতিনিধি এবং সরকারের একটি কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এ বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান একজন ছাত্র প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় কাজ করতেন। তিনি বাগছাস (বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ)-এর কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। সংগঠন থেকে তাকে ইতিমধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে।”

রাশেদ খান আরও দাবি করেন, এভাবে সব মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘ছাত্র প্রতিনিধি’ নামধারী কিছু লোক সরকারের নাম ভাঙিয়ে নিয়োগ, বদলি, তদবির, মামলা পরিচালনা এমনকি চাঁদাবাজির মতো কাজ করে আসছে। তারা দেশে কোনো নির্বাচন চায় না, কারণ নির্বাচন হলে কোটি কোটি টাকার এই ‘স্মার্ট’ চাঁদাবাজির পথ বন্ধ হয়ে যাবে।

অন্যদিকে, সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝরও ফেসবুকে লিখেছেন, গুলশানে ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির সময় রিয়াদসহ পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। রিয়াদের রাজনৈতিক অভিভাবক হিসেবে তিনি নাহিদ ইসলামের নাম উল্লেখ করেন এবং অভিযোগ করেন, “নাহিদ ইসলামরা নতুন ভাণ্ডবস্তের নামে দেশজুড়ে লুটপাট চালাচ্ছে।”

আটক অন্য ব্যক্তিরা হলেন—সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদমান সারদার সাদাব (২১), ইব্রাহিম হোসেন মুন্না (২৪) এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর আমিনুল ইসলাম (১৩)।

এই ঘটনায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ তাদের কেন্দ্রীয় দুই নেতা—আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। একইভাবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনও তাদের তিন নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে।

  • শেয়ার করুন