রিকশাচালকের সন্তান থেকে পাকা বাড়ির মালিক।।
ঢাকার গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) নিয়ে নোয়াখালীর সেনবাগে চলছে নানা আলোচনা। কারণ, হতদরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠা রিয়াদ সম্প্রতি গ্রামে একটি চার কক্ষের পাকা ভবন নির্মাণ করছেন।
তার বাবা আবু রায়হান আগে রিকশা চালাতেন, থাকতেন টিনশেড ঘরে। এখন সেই ঘর ভেঙে সেখানে শুরু হয়েছে নতুন পাকা ভবনের নির্মাণকাজ। আড়াই মাস আগে কাজ শুরু হয়, গত সপ্তাহে ছাদের ঢালাইও সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় আলোচনার সূত্রপাত এখান থেকেই।
স্থানীয়রা বলছেন, অভাব-অনটনের মধ্যেই বড় হওয়া রিয়াদের পরিবারের এই হঠাৎ উন্নয়ন সন্দেহজনক। তার বাবা ও বড় ভাইও রিকশা চালাতেন, এখন আর চালান না। বরং, এখন তারা প্রায়ই নতুন পোশাক পরে গ্রামে আসেন। এমনকি রিয়াদের একটি দামি মোটরসাইকেল কেনার কথাও শোনা যাচ্ছে। যদিও পরিবার বলছে, এই বাড়ি নির্মাণে জমানো টাকা, অনুদান এবং ঋণের টাকা ব্যবহার করা হয়েছে।
রিয়াদের এক সাবেক সহপাঠী জানান, তিনি মজিব কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মেধাবী হওয়ায় কিছু স্থানীয় বিত্তশালী তার পড়াশোনায় সাহায্য করতেন। তবে কয়েক মাস ধরে বাড়ির নির্মাণকাজ ও জীবনযাত্রার পরিবর্তন এলাকায় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
রিয়াদের এক প্রতিবেশী, ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ জানান, তিনি শুনেছেন রিয়াদ ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ বিষয়ে সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ৫ আগস্টের পর রিয়াদ এলাকায় এসেছিলেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। তিনি এলাকায় লিফলেট বিতরণও করেছেন এবং বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার ছবি রয়েছে বলেও খবর আছে।