ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবি ও আদায়ের ঘটনায় জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদে মোট ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে কলাবাগান থানায় একটি নতুন মামলাও রুজুর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
২৬ জুলাই সন্ধ্যার দিকে গুলশান ৮৩ নম্বর রোডের একটি বাসায় চাঁদা আদায়ের সময় পাঁচজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন মো. সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদমান সাদাব (২১), আমিনুল ইসলাম (১৩), ইব্রাহীম হোসেন (২৪) এবং আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৫)।
রিয়াদ নোয়াখালীর সেনবাগের বাসিন্দা এবং সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৭ জুলাই সকালে রিয়াদ ও অপু সাবেক এমপির বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন, না দিলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেন। ভিকটিম বাধ্য হয়ে নগদ ১০ লাখ টাকা দেন। পরে ২৬ জুলাই আবার ৪০ লাখ টাকা নিতে এলে পুলিশ অভিযুক্তদের হাতেনাতে ধরে।
এরপর গুলশান থানা পুলিশের আবেদনে চার আসামির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন—রিয়াদ, ইব্রাহীম, সিয়াম—‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর দায়িত্বশীল পদে ছিলেন। ঘটনার পর সংগঠনটি তাদের বহিষ্কার করে এবং সারা দেশের সব শাখা কমিটি স্থগিত করে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত আগে দেখা যায়নি—যেখানে অপরাধের দায় স্বীকার করে একটি সংগঠন নিজ উদ্যোগে সব কমিটি স্থগিত করেছে।”
তিনি আরও জানান, যারা সংগঠনের নাম ব্যবহার করে অপরাধে জড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
NS:Somoytv