শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের যে ঘোষণা, সেটিই বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছে ঢাবি প্রশাসন।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ২টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের উপস্থিতিতে এ ঘোষণা দেন প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ।
এর আগে, মধ্যরাতে হলে হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। হলের গেট ভেঙে বের হয়ে আসেন নারী শিক্ষার্থীরা।রাত আড়াইটায় বাসভবনের সামনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ‘হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই হল প্রভোস্টের নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে’ বলে জানান উপাচার্য। তবে পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘হল পর্যায়ে ছাত্ররাজনীতি নিয়ন্ত্রিত থাকবে।’
উপাচার্যের এই বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা ‘না, না’ বলে প্রতিবাদ করে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধের দাবি করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা হলে হলে শিবিরের গুপ্ত কমিটি প্রকাশের দাবির পাশাপাশি হলে হলে ছাত্রদলের কমিটির সদস্যদের শাস্তির দাবিও করেন।
শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানের পর হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের এই সিদ্ধান্ত জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।