ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম বলেছেন, রাজধানীর শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে গত বছর ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফ্যাসিস্টদের অত্যাচারে স্বজনহারা মানুষের আর্তনাদ এখনও থামেনি। এরই মধ্যে স্বার্থান্বেষীরা নেমেছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঘাট দখল ও বালু লুটপাটে। তারা ইসলামী দলগুলোর ঐক্য সহ্য করতে পারছে না। এই স্বার্থান্বেষী মহলকে দেশ থেকে উৎখাত করতে হবে।
গতকাল বুধবার ফরিদপুরে ইসলামপন্থি দলগুলোর মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থিদের ঐক্যভাবনা ও তাওহিদী জনতার করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। ফরিদপুর শহরের গেয়ালচামট এলাকার বীরশ্রেষ্ঠ আব্দুর রউফ পৌর অডিটোরিয়ামে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের জেলা শাখার আয়োজনে এই সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা সৈয়দ শামসুল হক এবং প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মুফতি রেজাউল করিম আবরার।
চরমোনাই পীর ইসলামী সব দলকে আরও দৃঢ় ঐক্য গড়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইসলামী শাসন কায়েম করার এখনই সুযোগ। ঐক্যের এই পরিবেশ দেখে ফ্যাসিস্ট চরিত্র ও চাঁদাবাজদের সহ্য হচ্ছে না। তারা ওলামাদের ও চরমোনাইর বিরুদ্ধে লেগেছে। বিশেষ করে যাদের ডাকে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তাদের বিভিন্নভাবে সমালোচনা করছে। তিনি নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার ও শাপলা চত্বর থেকে জুলাই আন্দোলন পর্যন্ত সব হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিচার চেয়ে বলেন, পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে প্রত্যেক ভোটারকে মূল্যায়ন করতে হবে। সবচেয়ে বড় সংস্কার হলো, নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন। এ ছাড়া সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। এই সরকার বিচার যদি না করে, অন্য সরকার এলে বিচার করবে না।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শূরা কমিটির সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব, জেলা আমির বদরুদ্দীন, প্রবীণ আলেম শাহ আকরাম আলী, হেলালুদ্দিনসহ ইসলামপন্থি বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।