বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মতো একজন শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মহামানব এই বাংলাদেশে এসেছিলেন। আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি, হযরত উমর (রাঃ) এর পর যদি সৎ ও যোগ্য রাষ্ট্রপ্রধান এসে থাকেন, তিনি হলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভা অডিটোরিয়ামে মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বরকতউল্লা বুলু বলেন, পৃথিবীর শুরু থেকে কেয়ামত পর্যন্ত সংস্কার একটি গতানুগতিক চলমান বিষয়। সংস্কারের নামে কেউ নির্বাচন বিলম্ব করতে চাইলে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না। কারণ নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব টিকে থাকবে না। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার বর্ণিল রাজনৈতিক জীবনে কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস হবে না।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলাফল তার একটি উদাহরণ। যারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। যারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে না, তাদের ভোট চাওয়া ও নির্বাচন করার অধিকার নেই।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলাসহ নানা সংকট উত্তরণের একটি মাত্র রাস্তা নির্বাচন। নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের কোনো গতি নেই।
মনোহরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইলিয়াছ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মো.আবুল কালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, প্রয়াত সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিমের কন্যা সামিরা আজিম দোলা প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থনে ইলিয়াস পাটোয়ারীকে সভাপতি অধ্যাপক সরওয়ার জাহান ভূঁইয়া দোলনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।