ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৪টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে খুলনা-যশোর মহাসড়কের রেললাইনের উপর অবস্থান নেন।অবস্থান চলাকালে মহাসড়কের দুপাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এ কারণে খুলনা স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস কিছুক্ষণের জন্য আটকা পড়ে।
এর আগে রোববার (২৪ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির অডিটরিয়াম থেকে মশাল মিছিল শুরু করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। প্রদক্ষিণের সময় শিক্ষার্থীরা, ‘১-২-৩-৪, ডিপ্লোমা তুই কোটা ছাড়’, ‘ইঞ্জিনিয়ার বানান কর, চাকরির দাবি পরে কর’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত করে ক্যাম্পাস।মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমের সামনে তাদের তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের তিন দফা দাবিগুলো হলো :
১. ৯ম গ্রেড (সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ) : এই পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে সমানভাবে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে এবং ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি হতে হবে। কোনোভাবেই কোটার মাধ্যমে পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
২. ১০ম গ্রেড (উপসহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ) : ডিপ্লোমাদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০০ শতাংশ কোটা বাতিল করতে হবে। এই পদে ন্যূনতম যোগ্যতা হবে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, তবে উচ্চতর যোগ্যতাসম্পন্ন বিএসসি বা এমএসসি ডিগ্রিধারীরাও আবেদন করতে পারবে।
৩. ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবির ব্যবহার : শুধু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী প্রকৌশলীরাই নামের পাশে ‘ইঞ্জিনিয়ার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবেন। অন্য কেউ এই পদবি ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, বিএসসি ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে এ দ্বন্দ্ব গত ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান। কিন্তু এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ কোনো উল্লেখ্যযোগ্য পদক্ষেপ না আসায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।