প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৫
৫ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। একই দাবিকে ঘিরে আরও কয়েকটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। নির্বাচনে পিআর (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালু, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধসহ মোট পাঁচটি দাবিতে আগামী তিন দিনের কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াত।
জামায়াতের এ কর্মসূচি সরকারের পতনের আন্দোলন নাকি দাবিদাওয়ার আন্দোলন—এমন প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এ বিষয়ে বলেন, “প্রত্যেক দলের নিজস্ব রাজনীতি আছে। এটি গণতান্ত্রিক ফ্রেমের বাইরে নয়। জামায়াতের দাবিগুলো নতুন কিছু নয়। পিআর পদ্ধতি, জাতীয় পার্টি ইস্যু বা জুলাই সনদের বাস্তবায়ন—এসব নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলো গত কয়েক মাস ধরে আলোচনা করছে। কোনটিতে একমত হওয়া যাবে এবং কিভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেটিই এখন বিবেচনার বিষয়।”
তিনি আরও বলেন, “প্রত্যেকটি ইস্যুর মধ্যে ব্যবধান খুব বেশি নয়। ঐকমত্য কমিশনে পিআর পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে আলোচনা করেছে। উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষসহ সবক্ষেত্রে ভোটের পিআর এজেন্ডাভুক্ত করা যায় কি না, সেটিও আলোচনায় এসেছে। তবে কমিশন বলছে, সময়ের স্বল্পতায় বিষয়টি এখনই বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।”
ব্যারিস্টার ফুয়াদের মতে, যদি রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারত, তবে আজকের এই আন্দোলনের প্রয়োজন হতো না। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়েও কিছু মতপার্থক্য রয়েছে, তবে তা এমন নয় যে কোনোভাবেই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
জামায়াতের আন্দোলন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কিনা—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি মনে করি না এটি অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে কোনো আন্দোলন। এটি সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়, বরং সরকারের কাছে দাবি-দাওয়ার আন্দোলন। যারা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তাদের কারও পক্ষ থেকেই সরকারের পতনের দাবি ওঠেনি। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের দাবিগুলো সরকারের কাছেই জানাবে, এটাই স্বাভাবিক।”