প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫
খুলনা/ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫,
বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন মঙ্গলবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার নামে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) সংক্রান্ত সন্দেহাতীত প্রতিহিংসা ও সতর্কবার্তা জারি করেছেন। তিনি বলছেন, দেশের স্বার্থবিরোধী যে কোনও চক্রান্ত জনগণের সামনে আসলে বিচলিতভাবে তা মেনে নেওয়া হবে না এবং দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইশরাক তার পোস্টে দুইটি মূল কারণ তুলে ধরেন যেগুলো থেকে তিনি মনে করেন পিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে কেউ দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণœ করতে চাইতে পারে। প্রথমত, তিনি উল্লেখ করেন—যদি কোনো দলের সম্ভাব্য ভোট শতাংশ দেশের মোট নিবন্ধিত ভোটারের তুলনায় অতি নগণ্য হয়, তবে সেই দলের পক্ষে পিআর ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে “নিজ মার্কায় আওয়ামী ভোট কাস্ট” করার মাধ্যমে ক্ষমতা দখল বা নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হতে পারে।
দ্বিতীয়ত, তিনি বলেন, সংখ্যায় নগণ্য হলেও দেশের মাটিতে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী রয়েছে — তাদের মধ্যে কিছু সশস্ত্র ও তত্ত্বগতভাবে স্বতন্ত্র ধারণার অপব্যাখ্যা করে, যাদের একটি বড় অংশ নির্দিষ্ট পরিসরে ভারতের পৃষ্ঠপোষকতা ও আশ্রয়ে অবস্থান করতে পারে। তিনি আরো প্রকাশ করেন যে বিগত ১৭ বছরে এমন কিছু সমর্থক গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে, যারা যদি পিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে সংসদে প্রবেশ করে এবং বাংলাদেশের কোন অংশ আলাদা করে দেওয়ার ডাক দেয়, তাহলে তা প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
পোস্টের শেষাংশে ইশরাক হোসেন প্রতিরোধের ভাষ্য দিয়েছেন — “বাংলাদেশের জনগণ কোনো দালালদের কাছে রাজপথ ইজারা দেয়নি। দেশবিরোধী কাজ যারা করবে, তাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া হবে।” তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত’ থাকা সত্ত্বেও তিনি—এবং তার মতে সাধারণ জনগণ—একাত্তর এবং চব্বিশ প্রজাতির রাজাকারদের হাতেই দেশের ভবিষ্যত তুলে দেবে না।
রাজনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অজুড়ে পর্যায়ক্রমে দেখা যায়; তবে ইশরাকের পোস্টে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্ভাব্য অবক্ষায়ন ও স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর প্রভাবের বিষয়ে যে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, তা রাজনৈতিক মঞ্চে নতুন করে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
নিরপেক্ষ সংবাদ হিসেবে বলা যাচ্ছে—ইশরাক হোসেনের এই মন্তব্যগুলো তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ব্যক্তিগত পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তিনি যেখানে পিআর সিস্টেম নিয়ে উদ্বেগ উত্থাপন করেছেন, সেখানে সরকারী বা অন্যান্য রাজনৈতিক পক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও এই প্রতিবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়নি।