ইসরায়েলে সরাসরি আঘাত হানল ড্রোন, আহত অন্তত ২০

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

দখলদার ইসরায়েলের ইলাতে আঘাত হেনেছে একটি ড্রোন। বিস্ফোরকবাহী ড্রোনটি ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছুড়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিনের আলোতে ড্রোনটি এসে ইলাতে আছড়ে পড়ে। এতে অন্তত ২০ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি অ্যাম্বুলেন্স সেবা সংস্থা ডেভিড আদম অ্যাম্বুলেন্স সেবা। যারমধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে ড্রোনটি সরাসরি আঘাত হানছে। ওই সময় ইলাতে সতর্কতামূলক সাইরেন বাজছিল। তখনই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে শহরটি।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ড্রোন হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ড্রোনটি ভূপাতিত করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর এটি ইলাতে আঘাত হানে।ড্রোনটি আটকাতে আয়রন ডোম মিসাইল ছোড়ে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। মিসাইলটি কেন ড্রোন আটকাতে পারল না সেটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে মুসলিম নেতাদের কাছে নিজের পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার আটটি আরব ও মুসলিম দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে দুটি সূত্র জানিয়েছে, এই পরিকল্পনায় গাজার যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি এবং হামাসবিহীন একটি নতুন শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে।

ট্রাম্পের পরিকল্পনাটি সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের পরিকল্পনার ভিত্তিতে সাজানো হয়েছে। তবে এতে যুদ্ধ বন্ধের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।মুসলিম নেতাদের কাছে দেওয়া নতুন ও পরিকল্পনা ও প্রস্তাব অনুযায়ী— গাজায় কয়েক সপ্তাহের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, যার মাধ্যমে হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট ৪৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে উপস্থিত দেশগুলো ট্রাম্পের এই প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।

ওই সময় মুসলিম নেতারা একটি যুক্তিপত্র উত্থাপন করেন। এতে গাজায় যুদ্ধ অবসানের প্রস্তাবকে সমর্থন এবং জিম্মিদের মুক্তি ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন তারা। একই সাথে, তারা ট্রাম্পের এই শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।

এছাড়া যুক্তিপত্রে দখলদার ইসরায়েলের বিরোধিতা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখা, গাজা ও পশ্চিমতীর দখল, ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা এবং জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোতে স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করার বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছেন তারা।

  • শেয়ার করুন