প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৫
গাজাগামী মানবিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর নতুন সমুদ্রপথে আরেকটি নৌবহর এগিয়ে যাচ্ছে। এ বহরে রয়েছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও দৃক গ্যালারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম জানান, তথ্যপ্রবাহ সীমিত হওয়ায় সব খবর যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না, তবে তিনি সময়মতো সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে যাবেন।
তিনি বলেন, “আমাদের জাহাজটি আরও আটটি নৌযানের সঙ্গে যাত্রা শুরু করেছিল। মূল ফ্লোটিলা আটক হওয়ার পর বর্তমানে নয়টি জাহাজই গাজার উদ্দেশ্যে এগোচ্ছে। এটিকেই শেষ নৌবহর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। শুরু থেকেই কৌশল হিসেবে আমরা মূল ফ্লোটিলা থেকে আলাদা হয়ে অবরোধ ভাঙার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম।”
শহিদুল আলম আরও জানান, তাদের জাহাজের প্রধান উদ্দেশ্য মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া নয়, বরং ইসরায়েলের আরোপিত “অবৈধ অবরোধ” চ্যালেঞ্জ করা। তবে গাজার জনগণের ওপর বাড়তি চাপ না ফেলতে পর্যাপ্ত রসদ বহন করা হচ্ছে। এ অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো গাজার নারী, শিশু, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে চলমান হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ এবং বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকার কারণে “মিডিয়া অবরোধ” ভাঙা।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, সমুদ্র আপাতত শান্ত থাকলেও আবহাওয়া অপ্রত্যাশিত হতে পারে। ইসরায়েলের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কেও তারা সচেতন এবং এর জন্য প্রস্তুত ছিলেন শুরু থেকেই। তাদের জাহাজে ক্রু, ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও আয়োজক মিলিয়ে ৯৬ জন আরোহী আছেন, এর মধ্যে ৮২ জনই সাংবাদিক ও চিকিৎসক।
তিনি আরও জানান, আগের রাতে ফরাসি এনজিও মেদসাঁ সঁ ফ্রোঁতিয়ের-এর ১৪তম চিকিৎসকের মৃত্যুসংবাদ নিয়ে তারা দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। এ বিষয়ে ফরাসি সরকারের কেবল নিন্দা জ্ঞাপনকে তিনি পর্যাপ্ত মনে করেননি, বরং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
শহিদুল আলম বিশ্বাস করেন, জনগণের ভালোবাসা ও উৎসাহই তাদের শক্তি জোগাচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিন মুক্ত হবে।