প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫
প্রকাশিত:
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআন অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। অন্যদিকে শনিবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে, রোববার আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি এ ঘটনাকে “অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক” আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মনে গভীর ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
আজহারী লিখেছেন, “ইতিপূর্বে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে হাদিসের উদাহরণ দেওয়ায় এক শিক্ষকের বহিষ্কার গোটা দেশ দেখেছে। এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের প্রমাণ। কেউ মানসিক ভারসাম্যহীন হলে, তার জায়গা হাসপাতাল বা রিহ্যাব সেন্টারে— বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনার পেছনে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা জরুরি। “এই ক্রান্তিকালে কেউ পরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা-হাঙ্গামা লাগানোর চেষ্টা করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এটি দেশকে অশান্ত করার একটি নীলনকশার অংশও হতে পারে।”
আজহারী আরও উল্লেখ করেন, শুধু মুসলিম নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অমুসলিম শিক্ষার্থীদেরও এ ঘটনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া উচিত। একইসঙ্গে তিনি প্রস্তাব করেন, আগামী এক মাস নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন তিলাওয়াত, কুরআন স্টাডি সার্কেল, অনুবাদ ও তাফসির বিতরণ কর্মসূচি পালনের।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান জানিয়ে আজহারী লিখেছেন, “অপূর্ব পাল নামের এই কুলাঙ্গারের এমন শাস্তি হওয়া দরকার, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ কুরআন অবমাননার দুঃসাহস না করে।”