শিলংয়ে আমাকে পাগলাগারদে পাঠানো হয়: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার | ১১ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার
গুমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের একটি প্রামাণ্যচিত্রের কাজের অংশ হিসেবে সিলেটের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে তিনি সেই সীমান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন, যেখান দিয়ে তাকে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতের শিলংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। পরিদর্শন শেষে যমুনা টেলিভিশন–এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি নিজের সেই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন,

> “যেদিন আমাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন কিছুই বুঝতে পারিনি। জানতাম না যে আমাকে সীমান্ত পার করানো হচ্ছে। মনে হয়েছিল হয়তো ক্রসফায়ারের উদ্দেশ্যে কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ এখানে এসে মনে হচ্ছে, এই পথ দিয়েই আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন,

> “যখন শিলংয়ের ভেতরে আমার চোখ খুলে দেয়া হয়, তখন বুঝতে পারি হয়তো আমাকে ছেড়ে দেয়া হবে। মুক্তির পর স্থানীয় পথচারীদের সহায়তায় পুলিশের কাছে পৌঁছাই। কিন্তু পরে তারা আমাকে মানসিক হাসপাতাল পাঠায়। তখন মনে হয়েছিল, হয়তো জীবনের বাকিটা সময় সেখানেই কাটাতে হবে।”

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। তার পরিবার অভিযোগ করেছিল, সে সময়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। প্রায় দুই মাস পর, ১১ মে ২০১৫ সালে, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

বর্তমানে সালাহউদ্দিন আহমেদ দেশে ফিরে রাজনৈতিক কার্যক্রমে সীমিতভাবে যুক্ত রয়েছেন। গুমের শিকার হিসেবে তার এই পরিদর্শন ও স্মৃতিচারণ নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ডকুমেন্টারিটি শিগগিরই প্রকাশ পাবে বলে জানা গেছে।

  • শেয়ার করুন