সেনাবাহিনীর ১৫ কর্মকর্তা হেফাজতে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

ঢাকা, ১১ অক্টোবর – আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট জারি হওয়ার পর ২৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ কর্মকর্তা বর্তমানে সেনাবাহিনীর হেফাজতে রয়েছেন। এদের মধ্যে একজন এলপিআর (Leave Pending Retirement) অবস্থায় রয়েছে, আর একজন পলাতক।

ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আজ শনিবার ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান। তিনি বলেন, “অভিযুক্ত সদস্যদের বিষয়ে সেনাবাহিনী আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, গুমের মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক ও বর্তমান ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত। মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, “চলমান মামলার পর কর্মরত ১৫ কর্মকর্তা এবং একজন এলপিআর সেনা হেফাজতে আছেন।”

এছাড়া, মেজর জেনারেল কবির আহমেদ গত ৯ অক্টোবর আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছেন এবং এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেনা সদরেও তিনি যোগ দেননি। সেনা সদর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন বন্দর ও বিমানবন্দরে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে এবং রাতের কোনো দেশত্যাগ এড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে কি না, তা প্রক্রিয়াধীন। মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও চায় গুম ও খুনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের যথাযথ বিচার হোক। আমরা চাই ন্যায়বিচার হোক। তবে এখনও চার্জশিটের কপি সেনাবাহিনীর হাতে পৌঁছায়নি। নোটিশ দেওয়ার পরও মেজর জেনারেল কবির আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল থেকে চার্জশিট পেলে আমরা বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে অপরাধ নির্ধারণ করব।”

  • শেয়ার করুন