প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৫
আলোচিত ইসলামী বক্তা আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান ও তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার সারাহর দাম্পত্য জীবন নিয়ে ফের শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়া ও প্রতিষ্ঠানে নারীদের সঙ্গে অবাধ মেলামেশার অভিযোগ এনে একটি বিস্ফোরক পোস্ট দেন সাবিকুন নাহার।
এর আগে গত ২ অক্টোবরও একই ধরনের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তবে তখন আবু ত্বহা ফোন হারানোর অজুহাতে অভিযোগ অস্বীকার করলে সারাহ পোস্টটি সরিয়ে নেন ও প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। সেই সময় তোহা এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “ওয়াল্লাহি আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। এমনকি যদি তুমি ইমাম হাসানের কাত্তেলের মতোও হতে, তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করতাম, কারণ আমি তোমাকে আল্লাহর জন্যই ভালোবাসি।”
পরবর্তীতে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু ১১ সেপ্টেম্বর ফের নতুন করে একই অভিযোগ তুলেন সাবিকুন নাহার। তিনি দাবি করেন, “তোহা এখনো ওই বিমানবালার সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন এবং তাকেই বিয়ে করতে চান।” তিনি আরও লেখেন, “আমি কোনো মিথ্যা বলিনি। নিজের সম্মান বিসর্জন দিয়েছি তোহার সংশোধনের আশায়, কিন্তু ভক্তরা আমাকে অপমানিত করছে।”
এর দুই দিন পর, সোমবার (১৩ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজে ‘উপসংহার’ শিরোনামে একটি পোস্টে তোহা লেখেন, “ভুল সত্তায় অন্ধ ভালোবাসার উপযুক্ত প্রতিদানই সম্ভবত আমার প্রাপ্য ছিল। আমি পেয়েছি, মেনেও নিয়েছি। তবে আল্লাহর কসম—আর না।”
তিনি আরও বলেন, “হে আমার জাতি, শুধু এতটুকু বলতে চাই—আরশের মালিকের কসম, আমাকে একের পর এক মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। কাবার রবের শপথ, আমি জিনাকার নই। মোহাম্মদের রবের কসম, আমি ব্যভিচারী নই। যার হাতে আমার প্রাণ, তার কসম, আমি কোনো পরনারীর সঙ্গে হারাম সম্পর্কে জড়িত নই।”
তোহা জানিয়েছেন, বিষয়টি এখন দেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরামদের উপস্থিতিতে শরীয়াসম্মত ও আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের পথে রয়েছে।
তার এই বক্তব্য ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। কেউ তোহার প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছেন, আবার কেউ প্রশ্ন তুলছেন—ইসলামী বক্তাদের ব্যক্তিজীবনে এমন বিতর্ক তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসযোগ্যতায় কী প্রভাব ফেলবে।
সব মিলিয়ে, আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান ও সাবিকুন নাহার সারাহর দাম্পত্য সম্পর্ক এখন অনিশ্চয়তার এক দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে।