যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত, নিহত কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা বন্ধ হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় অন্তত তিনজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

গাজার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের একটি সূত্র জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় বুরেজি শরণার্থী ক্যাম্পে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে একজন ফিলিস্তিনি নিহত হন। অন্যদিকে নাসের হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, একই দিনে আরও দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন—এর মধ্যে একজন ড্রোন হামলায়, আরেকজন ইসরায়েলের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মারা যান।

এর আগে গত মঙ্গলবারও যুদ্ধবিরতি চুক্তি অমান্য করে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটির বিভিন্ন স্থানে গুলি চালায়। দুটি পৃথক ঘটনায় অন্তত নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। নিহতরা সবাই যুদ্ধবিরতির পর নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার পথে হামলার শিকার হন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয়। চুক্তির অংশ হিসেবে গত ১৩ অক্টোবর হামাস জীবিত অবস্থায় ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেয়। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়, যাদের মধ্যে সাজাপ্রাপ্তরাও ছিলেন।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। নির্ধারিত দৈনিক ৬০০ ট্রাকের বিপরীতে বুধবার বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানায়, সেদিন তাদের মাধ্যমে মাত্র ১৩৭ ট্রাক ত্রাণ সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে। এসব ট্রাকে ছিল ময়দা ও চিকিৎসা সামগ্রী, তবে পানি ও জ্বালানি ছিল অপ্রতুল।

এদিকে যুদ্ধবিরতির পর বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ঘরে ফিরলেও তাঁরা এখন তীব্র পানি ও বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছেন। গাজার বাসিন্দাদের অনেকেই জানিয়েছেন, অধিকাংশ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কিছু ত্রাণ প্রবেশ করায় খাবারের সরবরাহ সামান্য বেড়েছে, তবে মানবিক সংকট এখনো চরমে।

  • শেয়ার করুন