ভাবির সঙ্গে শেষ কথায় কালাম বলেছিলেন— ‘ অতি শীঘ্রই বাড়ি ফিরবো’

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

সকাল বেলা ১১ টায় ভাবি আসমা বেগমের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল মেট্রো স্টেশনের বিয়ারিং প্যাড পড়ে নিহত আবুল কালাম আজাদের। অতি শীঘ্রই বাড়ি ফিরে পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হলো না। মৃত্যুর খবর গ্রামের বাড়িতে পৌঁছালে এলাকাজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। এ ঘটনায় তদন্ত করে ক্ষতিপূরণ দাবি স্বজনদের।নিহত ওই যুবক হলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠী এলাকার মৃত আব্দুল জলিল চোকদারের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (৩৬)। চার ভাইয়ের মধ্যে ছোট তিনি। স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের পাঠানতলি এলাকায়।

স্থানীয়রা জানায়, ঢাকায় তিনি একটি এজেন্সির চাকরি করতেন। তার আয়ের একটি অংশ গ্রামের বাড়িতে পাঠাতেন। রোববার বেলা ১২ টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে রাজধানী ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় যাওয়ার সময় মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের স্বজনরা।

নিহতের ভাবি আসমা আক্তার বলেন, সকালে আমাকে ফোন দিয়ে বলেছিল ওর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলবে। বাড়ি আসতে বললে, সে জানায় অতি শীঘ্রই বাড়ি আসবে। কয়েক ঘণ্টা পর জানতে পারি, আমার দেবরের মৃত্যুর খবর। সংসারের হাল ওই ধরেছিল। আর ফিরে আসবে না। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ন্যায্য বিচার চাই। তার সন্তানরা যাতে ভালো করে বাঁচতে পারে সরকার সেই ব্যবস্থা করুক।

অন্যদিকে, চাচাতো ভাই আব্দুল গণি মিয়া চোকদার বলেন, সে খুব ছেলে ছিল। ছোটবেলা থেকে পরিশ্রম করে সংসারের হাল ধরেছে। ওর এমন মৃত্যু মেনে নেয়ার মতো না। ওর সংসার কীভাবে চলবে তা বলতে পারছি না। সরকার পরিবারটির পাশে দাঁড়াক।

এ ব্যাপারে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল কাইয়ুম খান বলেন, আমরা ইতোমধ্যে খবর পেয়েছি। বিষয়টি দুঃখজনক। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

  • শেয়ার করুন