প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫
ঢাকার বেশ কয়েক আসনে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে খুলনা বিভাগের ৩৫টি আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে আজ সোমবার (২৭ অক্টোবর) বৈঠক করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। খুলনা জেলার ৬টি আসন থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত অন্তত ১৪ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে প্রতিটি বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলোচনা করছেন। রবিবার চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে, আর সোমবার খুলনা বিভাগের নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেবেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ফোন করে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হয়।
খুলনা-১ আসন থেকে জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জিয়াউর রহমান পাপুল,
খুলনা-২ আসন থেকে সাবেক এমপি ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বর্তমান নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
খুলনা-৩ আসনে একমাত্র আমন্ত্রিত প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল।
খুলনা-৪ আসনে কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিক ফোন পেয়েছেন।
খুলনা-৫ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর লবী, শফি মোহাম্মদ খান ও ইবাদুল হক রুবায়েদ, এবং
খুলনা-৬ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম, পাইকগাছা উপজেলা সভাপতি আবদুল মজিদ, সাংবাদিক আনোয়ার আলদীন ও আমিরুল ইসলাম কাগজী বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানিয়েছেন, চলতি মাসের মধ্যেই দলের পক্ষ থেকে দুই শতাধিক আসনে একক প্রার্থীকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আমরা প্রক্রিয়ার একদম শেষ পর্যায়ে আছি। শিগগিরই সবাইকে জানানো হবে যেন তারা নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করতে পারেন।”
দলীয় সূত্র আরও জানায়, রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে তারেক রহমানের ফোন পেয়েছেন এবং কেউ কেউ মাঠে প্রচারণার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তরুণ, পেশাজীবী ও রাজনৈতিকভাবে পরিচিত মুখদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যা তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করার কৌশলের অংশ হিসেবে বিবেচিত।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী,
ঢাকা-৩: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
ঢাকা-৪: তানভীর আহমেদ রবিন
ঢাকা-৬: ইশরাক হোসেন
ঢাকা-৮: মির্জা আব্বাস
ঢাকা-১০: ব্যারিস্টার নাছির উদ্দিন আহমেদ অসীম
ঢাকা-১২: হাবিব উন খান নবী সোহেল
ঢাকা-১৩: এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ
ঢাকা-১৫: মামুন হাসান
ঢাকা-১৬: আমিনুল হক
এছাড়া সবচেয়ে আলোচিত নাম ‘মায়ের ডাক’ আন্দোলনের সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম তুলি, যিনি ঢাকা-১৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তারেক রহমানের সরাসরি গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন। গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন তুলি ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
অন্যদিকে, ঢাকা-১৭ আসনটি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)-এর সভাপতি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই তালিকা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে অভিজ্ঞ নেতৃত্বের পাশাপাশি তরুণ ও নতুন প্রজন্মের নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।