সরকারের উচিত টার্গেট কিলিং ও অগ্নিসন্ত্রাসে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা: জাপা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২৫

  • শেয়ার করুন

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টি সবসময় সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস, বোমাবাজি, মানুষ হত্যা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে। সরকারের উচিত এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।

আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে নিজ কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘সারাদেশে সন্ত্রাস, হত্যা ও চাঁদাবাজির পাশাপাশি বেপরোয়া হারে বৃদ্ধি পেয়েছে টার্গেট কিলিং। রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ এর শিকার হচ্ছেন। এর সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্ত হয়েছে অগ্নিসন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমাবাজি। এসব ঘটনার কারণে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষের জীবন আজ মারাত্মকভাবে অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের স্বাভাবিক মৃত্যুরও নিশ্চয়তা পাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ডিএমপির তথ্য অনুযায়ী, শুধু রাজধানীতেই গত দশ মাসে ১৫৮ জন মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। এর বাইরে চট্টগ্রামের রাউজান, খুলনা সহ দেশের প্রায় সব জেলা–উপজেলায় নিয়মিতই হত্যাকাণ্ড ঘটছে। পাশাপাশি ঢাকা, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে ককটেল হামলা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাগুলো মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে।

মতবিনিময় সভায় আরও ছিলেন— জাতীয় পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু, কো–চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির, প্রেসিডিয়াম সদস্য জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, আরিফুর রহমান খান, সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জিয়া উর রহমান বিপুল, সৈয়দ সিরাজুল আরেফিন মাসুম ও জামাল হোসেন।

উল্লেখ্য, বগুড়া থেকে নির্বাচিত দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম ওমর বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এবং এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

এ সময় রুহুল আমিন হাওলাদার আরও বলেন, ‘পল্লীবন্ধু এরশাদের জাতীয় পার্টিকে আর কাউকে ব্র্যাকেটবন্দি করতে দেব না। পল্লীবন্ধুপ্রেমী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে শক্তিশালী জাতীয় পার্টি গড়ে তোলা হবে। জাতীয় পার্টিকে ছাড়া আগামীর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস রচনা সম্ভব নয়। যারা জাতীয় পার্টিকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে চায়, সময়ের ব্যবধানে তারাই একদিন দেশীয় রাজনীতি থেকে মুছে যাবে। জাতীয় পার্টির রাজনীতি দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত—এই দলের শেকড় এই মাটির অনেক গভীরে।’

  • শেয়ার করুন