প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল মুসলিম লীগের (পিএমএল-এন) যুব শাখার নেতা কামরান সাঈদ উসমানি ভারতকে সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো ধরনের হামলা হলে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং মিসাইল তার জবাব দেবে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় উসমানি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি সামরিক জোট গঠনেরও আহ্বান জানান।এই খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
ভিডিওতে উসমানি দাবি করেন, পাকিস্তান বাংলাদেশকে ভারতের মতাদর্শগত আধিপত্যের নিচে ঠেলে দেওয়া মেনে নেবে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসনের ওপর আঘাত হানে বা কুদৃষ্টি দেয়, তবে পাকিস্তান কঠোর জবাব দেবে।
তিনি বলেন, ‘‘ভারত যদি বাংলাদেশের স্বায়ত্তশাসনে আঘাত করে, কেউ যদি বাংলাদেশের দিকে কুদৃষ্টি দেওয়ার দুঃসাহস দেখায়, তবে মনে রাখবেন যে পাকিস্তানের জনগণ, সশস্ত্র বাহিনী এবং আমাদের মিসাইল খুব বেশি দূরে নয়।’’
উসমানি আরও অভিযোগ করেন, ভারতের ‘অখণ্ড ভারত’ মতাদর্শ বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা পাকিস্তান সহ্য করবে না। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান এর আগেও ভারতকে কঠিন পরিস্থিতির মুখে ফেলেছে এবং প্রয়োজনে আবারও তা করতে সক্ষম।
তিনি একটি কৌশলগত যুদ্ধের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, পাকিস্তান পশ্চিম দিক থেকে এবং বাংলাদেশ পূর্ব দিক থেকে আক্রমণ করতে পারে, যেখানে চীন অরুণাচল প্রদেশ ও লাদাখ সীমান্তে ভারতকে ব্যস্ত রাখবে।
অন্য একটি ভিডিওতে উসমানি আরও এক ধাপ এগিয়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক সামরিক জোটের প্রস্তাব দেন। তিনি অভিযোগ করেন, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশকে বিরক্ত করছে এবং ভারত ‘অখণ্ড ভারত’ মতাদর্শের অধীনে বাংলাদেশকে ভেঙে একটি হিন্দু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রস্তাব হলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশের একটি সামরিক জোট গঠন করা উচিত। পাকিস্তানের উচিত বাংলাদেশে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা এবং বাংলাদেশের উচিত পাকিস্তানে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা।’’
উসমানির মতে, এ ধরনের ব্যবস্থা উভয় দেশের কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করবে এবং চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকে (সিপিইসি) বাংলাদেশের বন্দরগুলোর সাথে যুক্ত করবে। তিনি দাবি করেন, ‘‘যারা বন্দর ও সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ করে, তারাই বিশ্ব শাসন করে।’’ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সামরিক অংশীদারিত্ব আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্য উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।