কুমিল্লা নগরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে দীর্ঘ দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই সময়ে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেইল করা হতো। ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ছাত্রীর পরিবারের কাছ থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ধর্ষণ ও পরবর্তীতে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে অভিযুক্ত যুবক সোয়াদুর রহমান সিয়াম এবং তার মা তানিয়া আক্তার মনিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, কুমিল্লা নগরীর চকবাজার এলাকার বাসিন্দা সিয়াম প্রায় দুই বছর আগে একই এলাকায় ভাড়া থাকা ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে এবং সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরবর্তীতে সেই ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করে এবং গত দুই বছরে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভিডিও ফাঁসের হুমকি দিয়ে ছাত্রীর পরিবার থেকে প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেওয়া হয়।
ছাত্রীটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার মা বিষয়টি সিয়ামের মা তানিয়া আক্তার মনিকে জানান। তখন মনি তাদের শহর ছেড়ে দেওয়ার জন্য হুমকি দেন।
ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে বুধবার সিয়ামের নানার বাড়িতে নিয়ে ছাত্রীকে গর্ভপাতের ওষুধ খেতে বাধ্য করা হয় এবং হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় তার পেটে লাথিও মারা হয়। পরে ছাত্রীর মা তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সিয়াম, তার মা তানিয়া আক্তার মনি এবং বোন মিমের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতেই সিয়াম ও তার মাকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে এবং শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার অপর আসামি মিমকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।।
স্কুলছাত্রীকে দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ, মা-ছেলে গ্রেপ্তার
